মহাভারত থেকে জানা যায়, পাণ্ডবেরা যখন অজ্ঞাতবাসে যাচ্ছিলেন, তখন যেতে যেতে দ্রৌপদী খুবই তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়েছিলেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও যখন কোথাও জল পাওয়া গেল না। তখন ভীম তার গদা দিয়ে মাটিতে জোরে জোরে আঘাত করে এই জলাশয়টি তৈরি করেন। এই জলাশয়ের জল পান করে তারা তাদের তৃষ্ণা মেটায়।
মহাভারতে এই পুল সম্পর্কে বলা হয় যে এই জলাশয় নাকি এশিয়া মহাদেশে আসন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের (বন্যা, ঝড়, সুনামি) আগাম বার্তা দেয়। তখনি জলাশয়টির জল স্বাভাবিকের থেকে অনেকটা বেড়ে যায়। ২০০৪-এর সুনামির সময় ভীমকুণ্ডের জল ১৫ ফুট পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল।
অনেক তাবড় তাবড় বৈজ্ঞানিকরা এই জলাশয়ের গভীরতা মাপতে ২৫০ মিটার পর্যন্ত একটি ডুবো ক্যামেরা পাঠিয়েছিল, তবুও গভীরতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে এই গভীরে যাওয়ার পরই তীব্র স্রোতের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। কিন্তু এই স্রোত কোথা থেকে আসছে সেটাও জানা যায়নি।