ভাদ্র মাসের অমাবস্যা সাধারণত কৌশিকী অমাবস্যা বলা হয় যা বছরের অন্যান্য অমাবস্যার থেকে অনেকটাই আলাদা। হিন্দু শাস্ত্রমতে এই এই বিশেষ তিথিকে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়, কারণ কথিত আছে সাধক কুল কুণ্ডলিনী চক্রকে জয় করে এবং নিজের ইচ্ছামতো ধনাত্মক অথবা ঋণাত্মক শক্তি সাধনার মধ্যে দিয়েই সিদ্ধিলাভ করেন।
তবে কেন এই কৌশিকী অমাবস্যা? হিন্দু শাস্ত্রে কথিত আছে বহুকাল আগেই শুম্ভ নিশুম্ভ কঠিন সাধনা করে ব্রহ্মার কাছ থেকেই বর পেয়েছিলেন যে তাঁদের নাকি কোনও পুরুষ বধ করতে পারবেন না, শুধু যোনি কোনও নারী তাঁদের বধ করতে সক্ষম হবেন।
কিন্তু এই বর পাওয়ার পর দেবলোকে শুম্ভ ও নিশুম্ভ অত্যাচার করতে শুরু করে আর এদের অত্যাচারে পীড়িত হয়ে দেবতারা শিব রুখে আশ্রয় নেন। তখনই শিব পার্বতীকে কালিকা রূপে দেবতাদের উদ্ধার করার পরামর্শ দেন।
“কিন্তু পার্বতীকে সকলের সামনে কালি ভরে ডাকায় তিনি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ এবং অপমানিত হয়েছিলেন তাই মানুষ সরোবরের নিকট গভীর সাধনায় মগ্ন হয়ে পড়েন তিনি।
পরে তপস্যার শেষে মানুষ সরোবরের জলে স্নান করে সমস্ত কালো রূপ পরিত্যাগ করে পূর্ণিমার চাঁদের মতো বর্ণ ধারণ করেন, কালো চুল গুলি থেকে অপূর্ব সুন্দর কৃষ্ণবর্ণ এক দেবীর সৃষ্টি হয় আর যিনিই হলেন কৌশিকী। ভাদ্র মাসের এই তিথিতেই তিনি আবির্ভূত হয়েছিলেন বলে এটিকে কৌশিকী অমাবস্যা বলা হয়।