এর আগে আমরা একমুখী পাঁচমুখী এবং এগারো মুখী রুদ্রাক্ষের গুণাগুণ ও ব্যবহারের ফলাফল নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। এবার আলোচনা করব তিন মুখী রুদ্রাক্ষ নিয়েই। আমরা সকলেই জানি রুদ্রাক্ষ সাধারণত দেবাদিদেব মহাদেবের তৃতীয় চোখ অন্তত হিন্দু শাস্ত্র মতে সে কথাই বলা হয়। রুদ্রাক্ষের মধ্য দিয়েই, তবে রুদ্রাক্ষ বিশেষ আলাদা আলাদা ব্যবহার হয়ে থাকে এবং ফলাফল আলাদা হয়। শাস্ত্রবিদরা এই তিন মুখী রুদ্রাক্ষের নিয়ন্ত্রক বলে থাকেন মঙ্গল গ্রহকে। জেনে নেওয়া যাক তিন মুখী রুদ্রাক্ষের ব্যবহারের ফল কী হয়-
1. তিনি মুখী অক্ষয় খুব দ্রুত কাজ দেয় বিদ্যালয় থেকে কর্মক্ষত্রে সিদ্ধিলাভ সর্বত্রই সাফল্য আসে তিন মুখের রুদ্রাক্ষ ধারণ করলেই।
2. এই তিন মুখী রুদ্রাক্ষ অগ্নিদেব পরে করা হয় এবং এর ব্যবহারের ফলেই পাপ মুক্তি ভয় দূর হয় বলেও ধারণা আছে।
3. যে কোনও ব্যাধি থেকে মুক্তি পেতেই এই তিন মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে দ্রুত আরও গলা সম্ভব।
4. জীবনের দুঃখ কষ্ট সমস্ত বিনাশ করতে গেলেই এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে ফল পাওয়া যায়।
5. পাপ বিনাশ করলে এবং পুণ্য লাভ করতে রাতেই তিন মুখী রুদ্রাক্ষ জলে ভিজিয়ে রেখে সেই জল দিয়ে স্নান করলেই ভাল ফল মেলেই।
6. মহাব্রত সমান ফল পেতেই এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন সন্ন্যাসীরা। জেনে নিন কোন রুদ্রাক্ষ উন্নতমানের? সেই রুদ্রাক্ষ পাথরের উপর ঘষলে দাগ পড়ে না সেটি সাধারণত আসল এবং উন্নতমানের হয়ে থাকে। ছাড়াও গোলাকার এবং নিচের অংশে ছিদ্র যুক্ত রুদ্রাক্ষ কেও উন্নত মানের বলা হয়।