![]() |
মহাদেব হলেন স্বর্গের দেবতাদের দেবতা, দেবাদিদেব মহাদেব। তিনি যতটাই রাগী ততটাই কিন্তু ভালো মনের যে কারণে তার আরেক নাম ভোলা মহেশ্বর। আমরা ভগবান শিবকে খুব আড়ম্বরে ভক্তিভরে পূজা করি।পুরাণে ভগবান শিবের পোশাকের কথা বলা হয়েছে, যা অবাক করার মতো।
পুরাণ অনুযায়ী ভগবান মহাদেব গলায় তাঁর মানস কন্যা মনসাকে ধারণ করেন। মহাদেবের জটার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে মা গঙ্গা,মাথায় এক পাশে অবস্থান করছে চন্দ্র। হাতে ত্রিশুল এবং ডুগডুগি। বস্ত্র হিসেবে পরিধান করেন বাঘের ছাল। মহাদেব কেন এইরকম বেশ ধারণ করেন তার উত্তরই আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
একটি জঙ্গলে ঋষিরা তাদের পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।একবার মহাদেব সেই জঙ্গলে ভ্রমণ করতে গিয়েছিলেন। তিনি যখন জঙ্গলে ঘোরাফেরা করছিলেন তার শরীরে কোনও পোশাক ছিল না। এমন সুদর্শন চেহারা দেখে ঋষিদের স্ত্রীগনেরা মহাদেবের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। কিন্তু মহাদেব এ বিষয়ে কিছু জানতেন না তিনি তো আপনভোলা দেবতা। তিনি নিজের খেয়ালেই বিচরণ করছিলেন।
স্বাভাবিকভাবেই দেবাদিদেব মহাদেবের প্রতি ওই ঋষিরা ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে। তখন মহাদেবকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য তারা নানান পরিকল্পনা করে, মহাদেবের ভ্রমণের পথে একটা বড় গর্ত খুঁড়লেন এবং তাতে একটি বাঘকে রাখলেন। শিব গর্তে পড়তেই বাঘটিকে হত্যা করে বাঘের ছাল ছড়িয়ে পরিধান করলেন মহাদেব। তখন থেকে তিনি বাঘছাল পরিধান করেন।