গোল্ডেন রিভার, ভারতের যে নদীতে আজও বয়ে বেড়ায় সোনা, চাইলেই খুঁজে পেতে পারেন আপনিও - eDesh

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Tuesday, 9 June 2020

গোল্ডেন রিভার, ভারতের যে নদীতে আজও বয়ে বেড়ায় সোনা, চাইলেই খুঁজে পেতে পারেন আপনিও


নদীর সঙ্গে ভারতবর্ষের সম্পর্ক খুবই গভীর। আমাদের দেশে গঙ্গাকে মা হিসেবে পুজো করা হয়। সুজলা সুফলা এই ভারত বিশেষত নদীমাতৃক দেশ। কৃষি কাজের সিংহভাগ নির্ভর করে নদী গুলির উপর। পানীয় জল,বিদ্যুৎ উৎপাদন, কলকারখানা, নগর গড়ে ওঠা সবগুলোই নদীর উপর নির্ভরশীল। কিন্তু বিশ্বে এমন কিছু নদী আছে যেখান থেকে সোনা পাওয়া যায়। চমকে ওঠার মতো কথা হলেও এটি সম্পূর্ণ সত্যি। আরো চমকে যাবেন এটি শুনে যে এর মধ্যে রয়েছে এদেশের নদী ও। সেই রকমই কিছু সোনার নদীর কথা আজ আমরা জানতে পারব।

ঝাড়খন্ডে সুবর্ণরেখা নদী: নদীটির নাম এর মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে সোনা। সুবর্ণ কথাটির অর্থ হল সোনা। এই নদীর জলের তলায় অনেক সোনা বয়ে চলেছে, এমনটাই কথিত রয়েছে পুরানে। সুবর্ণরেখা নদীর উৎপত্তিস্থল রাঁচির পিসকা গ্রাম থেকে। শোনা যায় একসময় এই পিসকা গ্রামে সোনার খনি ছিল। সেই থেকেই এই নদীটির নামকরণ হয় সুবর্ণরেখা।বন্যার সময় যখন নদীর জল তীরে উঠে আসত তখন নদীর জলের সঙ্গে মিশে যেত সোনা। এবং যখন জল তীর থেকে নেমে যেত তখন জলের সঙ্গে বহু সোনাও চলে যেত নদীগর্ভে। আজ ও দেখা যায় স্থানীয় মানুষের বালি থেকে সোনা খুঁজছেন।


খারকাই নদী: সুবর্ণরেখার উপনদীর নাম খার্কাই।জামশেদপুরের আদিত্যপুর এর উপর দিয়ে বয়ে গেছে এই নদী। নাতিদীর্ঘ এই নদীটির দৈর্ঘ্য মাত্র ৩৭ কিলোমিটার। এই নদীতে ও নাকি সোনা পাওয়া যায়। সুবর্ণরেখা নদীর সাথে যোগসূত্রের কারণেই এই খরকাই তেও সোনা ভেসে আসে। যখন সুবর্ণরেখা সোনা মিশে যায় তখন উপনদী হওয়ার কারণে এই নদীর মধ্যেও একই সঙ্গে মিশে যায় সোনা। এখানেও স্থানীয় মানুষদের সোনার সন্ধান করতে দেখা যায়। তাদের মতে সারাদিন খোঁজার পর চালের থেকেও ছোট আকারের সোনার টুকরো পাওয়া যায়।

ক্লনডাইক নদী: কানাডার শহরের ইওকন নদীর উপনদী হল ক্লনডাইক নদী। ওজিলয়েভে পর্বত থেকে সৃষ্টি হয়েছে এই নদীটি। এই নদীর আশেপাশে ও সোনা খুঁজে পেয়ে যেতে পারেন আপনিও। ১৮৯৬ সালে ১৬ ই আগস্ট প্রথমেই নদীতে সোনার সন্ধান পাওয়া যায়। মার্কিন খনি সন্ধানকারী জর্জ কার্মেন প্রথমে সন্ধান দেন।এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ১৯৯৬ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত রীতিমতো গোল্ড রাশ হয় শহরের ক্লক নদীতে।

লক্ষাধিক খনিজ সন্ধানকারী বেরিয়ে পড়েন থর্নডাইকের উদ্দেশ্যে।জানা যায় তাদের অনেক সোনা উত্তোলন করে প্রচুর ধনী হয়ে গিয়েছিলেন। আবার কিছু মানুষ কোন কিছুই উদ্ধার করে উঠতে পারেননি।জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব আলাস্কার চিরকুটের মধ্যে দিয়ে বরফে ঢেকে রাখা রাস্তা পাড়ি দিয়ে তারা পৌঁছন দর্শন শহরে। ১৮৯৭ সালের আগে পর্যন্ত এই শহরের জনসংখ্যা ছিল মাত্র ৫০০ জন। ১৮৯৭ থেকে ১৮৯৯ সালের মধ্যে সেই সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়ায় ৩০ হাজার ।


অস্থায়ী বাড়ি বানিয়ে বহু মানুষ বসবাস করতে শুরু করেন এই দুর্গম শহরে। এই নদীতে খনন শুরু করতে থাকেন অনেকেই। সেখানে নদীর পাড়ে বরফ হয়ে যাওয়া বালি তুলে বরফ গলিয়ে সোনা উদ্ধার করা হয়। এখানে সোনা উত্তোলনে কোন আইনি বাধা নিষেধ নেই। তাই অবলীলায় সোনা তুলে নিয়ে গেছেন প্রচুর মানুষ। চাইলে যেকোন ব্যক্তি সোনা খুঁজে নিতে পারেন।

Post Top Ad

Responsive Ads Here