খুশকির সমস্যায় নারী-পুরুষের ভেদ নেই। চুলের খুশকি নিয়ন্ত্রণে রাখা তা অনেকের কাছে যেন অসাধ্য। খুশকি অনেক কারণে হয়। খুশকির সবচেয়ে সাধারণ কারণ বলা যেতে পারে সেবোরেইক ডারমাটাইটিস বা ত্বকের তৈলাক্ত ও চুলকানিপ্রবণ অবস্থাকে। এক ধরনের ছত্রাক আছে যার নাম মেলাসেজিয়া।
সব প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মাথার খুলিতেই এই মেলাসেজিয়া ছত্রাক থাকে। মেলাসেজিয়া নতুন ত্বক কোষ জন্মাতে সহায়তা করে। কিন্তু ত্বকে ময়লা জমে তেল চিটচিটে অবস্থার মধ্যে এই ছত্রাক বিপদে ফেলতে পারে। এ অবস্থায় জন্মানো অতিরিক্ত ত্বক কোষগুলো মরে যায় এবং ঝরে পড়ে।
মাথা থেকে ঝরে পড়া সাদা-হলদে খুশকি আসলে আমাদের ত্বকের মৃত কোষ। শুষ্ক ত্বকও খুশকির একটা সাধারণ কারণ। কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে খুশকি দূর করা যায়। জেনে নেওয়া যাক সেগুলি।
পুরোনো তেতুল জলে চুলের গোড়ায় লাগান। ১০-১৫ মিনিট রাখার পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুদিন এরকম করুন। খুশকি দূর হবে। ৬ চামচ ত্বক দই, এক চামচ মেহেন্দি বাটা ভালো করে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগান এবং ১ ঘন্টার মতো রেখে দিন। তারুর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। উপকার পাবেন।
ডিমের সাদা অংশের সত্যে ৪ চামচ টক দই এবং এক চামচ লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে চুলে লাগান। ২০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
নারকেল তেল গরম করে মেথি গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। তারপর মাথায় লাগিয়ে নিন। এক ঘন্টা পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহার করুন। ভালো ফল পাবেন। মেথি সারারাত ভিজিয়ে রেখে চুলে লাগলেও উপকার পাবেন। জলপাই তেল খুশকির জন্য উপকারী।