হাতে গোনা আর মাত্র কয়টা দিন। তারপরেই আসতে চলেছে গণেশ চতুর্থী। আগামী ৫ ই সেপ্টেম্বর মহাসমারোহে সারাদেশে পালিত হবে এই উৎসব। ভারতের মধ্যে মহারাষ্ট্রে এই উৎসব সবচাইতে ঘটা করে পালন করা হয়। দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা প্রতিবছর ভিড় জমান এই উদ্দেশ্যে। এই উৎসব সম্পর্কে এমন কিছু অবাক করা তথ্য রয়েছে যা অনেকেরই অজানা –
১) মহাদেবের দেওয়া নাম গণেশ এর অর্থ হল, ‘গণের নেতা’। যার থেকে গণেশ নামের উৎপত্তি।
২) পুরানে রয়েছে মহাদেবের সহচর হলো নন্দি যিনি সব সময় তাকে সাহায্য করেন। এইজন্য পার্বতী ও নিজের সৌন্দর্য চর্চার জন্য এক ধরনের বিশেষ চন্দনবাটা ব্যবহার করতেন, যেটা দিয়ে তিনি গণেশের মূর্তি তৈরি করেছিলেন।
৩) গণেশ নামটির মধ্যে আটটি সমার্থক শব্দ রয়েছে-গণাধিপ’ (যা ‘গণপতি’ ও ‘গণেশ’ নামেরও সমার্থক), ‘একদন্ত’ (যাঁর একটি দাঁত,), ‘হেরম্ব’, ‘লম্বোদর’ (যাঁর স্ফীত উদর) ও ‘গজানন’ (যাঁর হাতির মতো মাথা)।
৪) বর্মি ভাষায় গণেশ ‘মহা পেইন্নে’। থাইল্যান্ডে গণেশের জনপ্রিয় নাম ‘ফ্রা ফিকানেত’। শ্রীলঙ্কার বৌদ্ধ অঞ্চলগুলিতে গণেশ ‘গণ দেবিয়ো’ নামে পরিচিত। মহারাষ্ট্রের মারাঠি ভাষায় বলা হয় ‘বিনায়ক’, ‘বিঘ্নেষ’,’বিঘ্নেশ্বর’। তামিল ভাষায় দুটি জনপ্রিয় নাম হল পিল্লাই ও পিল্লাইয়ার। ‘পিল্লাই’ শব্দের অর্থ ‘শিশু’ এবং ‘পিল্লাইয়ার’ শব্দের অর্থ ‘মহান শিশু’।’পিল্লাইয়ার’ নামটির মূল ‘পিল্লে’ শব্দটির আদি অর্থ সম্ভবত ‘হস্তীশাবক।
৫) দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক ও অন্ধ্র প্রদেশের কিছু অংশে গণেশ গণেশ চতুর্থী অনুষ্ঠানটি মহাসমারোহে করা হয়।
৬) নিয়ম অনুযায়ী গণেশ চতুর্থীর দিন যদি কেউ চাঁদের দিকে তাকায় তাহলে তার জীবনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৭) গণেশের গায়ের বর্ণ লাল ও সবুজ।
৮) বারোয়ারি পুজো এবং বাড়ির পুজোর গণেশ ঠাকুর ক্রমাগতই দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
৯) গণেশ নিজহস্তে ৫ রাক্ষসের বিনাশ ঘটিয়েছিলেন।
১০) পুরাণ অনুযায়ী গণেশের দুই সন্তান হল ক্ষেম ও লাভ।