কথিত আছে এক ধরনের চন্দন বাটা দিয়ে বালকের মূর্তি তৈরি করেছিলেন পার্বতী। তারপর তাতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এরপর বালকটিকে নিজের পুত্র স্বীকৃতি দিয়ে পরম শক্তিশালী হওয়ার আশীর্বাদ দিয়েছিলেন। এর পরম কৈলাসে প্রবেশ করার সময় শিবকে বালকটি আটকালে বালকের সঙ্গে অসুরদের যুদ্ধ বেধে যায় ও অসুরগণ পরাস্ত হয়।
অবশেষে মহাদেব গণেশের মুন্ডু ছেদ করে দেয়। এরপর অসন্তুষ্ট পার্বতীকে বশে আনার জন্য হাতির মাথা গনেশের মাথায় স্থাপন করে প্রাণ ফিরিয়ে দেন শিব। ভাদ্রপদ শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে সারাদেশে গণেশ চতুর্থী পালন করা হয়। জ্যোতিষ শাস্ত্রে ওই দিনটিকে রিক্ত তিথি ধরা হলেও সেদিনই আবার গণেশের জন্ম হওয়ায় দোষ ধরা হয় না।
সূর্যের ওপর শনির দৃষ্টি থাকার জন্যই পিতার হাতে মৃত্যু হয় পুত্রের। কুষ্টিতে লগ্নে বৃশ্চিক রাশির আছে ও মঙ্গল বিরাজ করছে গণেশের। তিনি সমস্ত ধরনের বিঘ্ন-বাধা দূর করেন তার অপর নাম বিঘ্নহরতা। লগ্নে অবস্থিত মঙ্গলে শনি এবং বৃহস্পতির দৃষ্টির কারণে তার এই বিশেষ ক্ষমতা। অন্য দিকে বুধও স্বরাশির। এ কারণে গণেশ বিশেষ বুদ্ধি এবং জ্ঞানের দাতা এবং প্রথম পূজ্য।